Skip to main content

কংক্রিটের বস্তি নয় চাই সবুজ গ্রাম

"গ্রামবাসীকেও করের সুফল বোঝাতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী"
বিডিনিউজে এই খবর আর প্রথম আলোতে লিখেছে "টাকার খোঁজে সরকার"।
ভারতীয় উপমহাদেশের স্বয়ংসম্পুর্ণ গ্রামীণ ব্যবস্থাকে প্রথম ধ্বংস করেছিল ব্রিটিশ বেনিয়ারা। ব্যবসার মুনাফা বাড়াতে যতরকম কূটকৌশলের প্রয়োজন ছিল তার সবকিছুই তারা করেছিল। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী এজেন্ডা হচ্ছে গ্রামকে শহর করে তোলা। ব্যবসায়ীদের সরকার তার ব্যবসার প্রসার বাড়ানোর সকল রকম উদ্যোগ নেবে সেটাই স্বাভাবিক। নানাধরনের আরাম আয়েশ পণ্য বিক্রির বাজার তাদের দরকার। গ্রামের অর্থ এমনিতেই শহরে প্রতিনিয়ত পাচার হয়ে চলেছে। এখন তাদের শেষ কানাকড়িটাও প্রয়োজন। নগর সুবিধা সম্প্রসারণের নাম করে নগরজীবনের রোগগুলো গ্রামেও বিস্তার করা হবে। গ্রামের মানুষের বাসায় গ্যাস লাইন, রাস্তার পাশে ড্রেন কিংবা প্রতিমোড়ে ডাস্টবিনের দরকার নেই, তাদের দরকার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য। আয় নিশ্চিত না করে ব্যয় বাড়ানোর সকল প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।
মন্ত্রীমশায় বলেছেন -
জনগণকে বোঝাতে হবে কেউ বিচ্ছিন্নভাবে একটা বাড়ি করলে সেখানে গিয়ে নাগরিক সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান মিলে জনগণকে এ বিষয়ে বোঝাতে হবে।

মাননীয় মন্ত্রী, গ্রামের মানুষ বাড়ি বসে নাগরিক সেবা চায় না, আপনাদের বিদ্যমান সেবাকেন্দ্রগুলোতেই আগে সেবা নিশ্চিত করুন। মানুষ সেখানে গিয়েই সেবা নেবে। শহরের বস্তির রূপে গ্রামকে দেখার কোন ইচ্ছাই আমাদের নেই। তবে আসল উদ্দেশ্য বেরিয়ে আসে পরের কথাতে -
এবং কর আদায় করতে হবে। জনগণের মধ্যে কর দেওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে, কেন তাদের কর দিতে হবে। ২০০ টাকা কর দিলে ২০ হাজার টাকার বেশি সুবিধা তিনি পাবেন, এ বিষয়টি তাকে বোঝাতে হবে।

আমাদের গ্রাম জেলাশহর থেকে দুইকিলোমিটার দুরে অবস্থিত। এই দূরত্বটুকুই বলা যায় আমাদেরকে পৌর এলাকার দূর্ভোগ থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। বছর বছর ট্যাক্স বাড়লেও সেবার মান সেখানে বাড়েনি। জীবনধারণের মানে দুইস্থানের ভিতরে পার্থক্য না থাকলেও করের পার্থক্য যথেষ্ট।
কংক্রিটের বস্তি চাই না, সবুজ গ্রাম সবুজই থাকুক।

Comments

Popular posts from this blog

আল জাজিরা যে সংবাদের জন্য বাংলাদেশে ব্লকড

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বীর তিনজন লোককে গুমের অভিযোগ উঠেছে। মেজর জেনারেল ( অবঃ ) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী , নিরাপত্তা ও সামরিক বিষয়ে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি। হাসিনা সরকারের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একজন , যিনি শেখ রেহানার স্বামীর ভাই। তারিক আহমেদের বিরুদ্ধে প্রমাণসহ এই অভিযোগ করেছেন সাবেক আর্মি কর্মকর্তা ও তার এক সময়ের ব্যবসায়িক পার্টনার কর্নেল শহীদ উদ্দিন খান। যিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ' স্বেচ্ছা - নির্বাসনে ' আছেন। শহীদ উদ্দিন খান দাবি করেন যে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ' প্রচ্ছায়া লিমিটেড ' এর তিন কর্মকর্তাকে সামরিক বাহিনীর লোকজন জানুয়ারি মাসে তুলে নিয়ে গেছে। অপহৃতদের পরিবারগুলো এর সত্যতা নিশ্চিত করেছে। আল জাজিরা এ সম্পর্কিত ডকুমেন্ট পেয়েছে , যা এই দাবিকে নিশ্চিত করে। শহীদ খান বলেন যে , ডিজিএফআই নয় মাস আগে আরও কয়েকজন কর্মকর্তাসহ এই তিনজনকে অফিস থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনা ঘটে তারি

বেচারা সাফা কবির !

বেচারা সাফা কবির !  লাইভ অনুষ্ঠানে পরকালে বিশ্বাস করেন কিনা সে প্রশ্নের জবাব দিয়ে ফেঁসে গেছেন। তার পেজে যে পরিমাণে গালিগালাজ চলছে তা দেখে বোঝাই মুশকিল, আজকে সাফা কবিরকে ধর্ষণ করতে চাওয়া ছেলেটা পরশুও নুসরাত হত্যার বিচার চেয়েছে। মেয়েরাও পিছিয়ে নেই দেখলাম। তারাও পরকালে অবিশ্বাসী নাস্তিক সাফা কবিরকে মোটামুটি শায়েস্তা করে ছাড়ছে। সাফা কবিরের নাটক দেখা এই যুবসমাজের হঠাৎ মনে পড়েছে তাদের একখান ধর্ম আছে। গালাগালি করা এই মানুষগুলো ধর্ম পালনের দিক দিয়ে সাফা কবিরের কাছাকাছিই, শুধু পার্থক্য এই যে সাফা কবির প্রকাশ করে ফেলেছেন তিনি ধার্মিক নন। একটু হিপোক্রেসি করলে তাকে আর এই ঝামেলার সম্মুখীন হতে হত না। এই বঙ্গ দেশে আপনি যত বড় রুই কাতলা-ই হোন না কেন, পরকালে বিশ্বাস নাই তো সব শেষ। আপাদমস্তক খারাপ মানুষ হয়েও মুখে বলে চলুন আমি ধর্মে বিশ্বাস করি, ধর্মকে ভালোবাসি তাহলে এদেশের মানুষ ক্ষমা করে দেবে, ভালোবাসবে। অন্যদিকে মানুষ হিসাবে আপনি যতই ভাল হোন না কেন, ধর্মে বিশ্বাস নেই তো আপনার বেঁচে থাকা নিয়েই টানাপোড়েন লেগে যাবে। ক্যারিয়ারের শুরুতেই একটা মন্তব্যের জন্য তাকে বেশ হুমকির মুখে পড়তে হল